প্রথমেই খাদ্যতালিকা থেকে যেসব খাবার বাদ দিতে হবে ওজন কমাতে
অতিরিক্ত ওজন দিন দিন বড় একটি স্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। সুস্থ থাকতে চাইলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। অনেকেই ওজন কমানোর জন্য না খেয়ে থাকেন, যা আদৌ কার্যকর কোনো পদ্ধতি নয়। বরং প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে কঠিন করে তোলে। সকালের নাশতা থেকে রাতের খাবার—কোনো বেলাই বাদ দেওয়া যাবে না। বরং সারা দিনে ছোট ছোট ভাগে খাবার গ্রহণ করলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয় এবং একই সঙ্গে ডায়েট অনুসরণ করাও সহজ হয়।
প্রথমেই খাদ্য তালিকা থেকে উচ্চ ক্যালরির অপ্রয়োজনীয় খাবার যেমন ফাস্ট ফুড, ভাজা-পোড়া, কেক-পেস্ট্রি, চকলেট, আইসক্রিম, কোমল পানীয় বাদ দিন। এ ধরনের খাবার শরীরের কোনো উপকার করে না, বরং ক্ষতি করে। এর পরিবর্তে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন প্রচুর শাকসবজি, তাজা ফলমূল, ভালো মানের প্রোটিন যেমন মাছ, ডিম, দুধ, দই ইত্যাদি। এতে শরীর পুষ্টি পাবে এবং দুর্বলতা, অপুষ্টি বা রক্তস্বল্পতা হবে না।
- কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনুন। সাদা ভাত, পাউরুটি বা ময়দার পরিবর্তে লাল চাল, লাল আটা বা ওটস জাতীয় জটিল শর্করা গ্রহণ করুন। গোটা শস্য থেকে তৈরি খাবার শরীরের জন্য উপকারী।
- বেশি বেশি শাকসবজি খান। বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে রোজ নতুন স্বাদের খাবার তৈরি করা সম্ভব। শাকসবজির পাশাপাশি একটু আমিষ যোগ করলেও খাবারের স্বাদ বাড়ে।
- ফলমূলেরও যথেষ্ট গুরুত্ব আছে, তবে ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টি ফল খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
- কোমল পানীয়, চকলেট, আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি এড়িয়ে চলুন।
- চিপস, চানাচুর বা অন্য প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়াই ভালো। ফাস্ট ফুড ও ডুবো তেলে ভাজা খাবার বাদ দিয়ে অফিসে কাজের ফাঁকে ফলমূল বা বাদাম খেতে পারেন, যা সহজেই বহন করা যায়।
- চিনি কমাতে হবে। একবারে বাদ দিতে না পারলে ধীরে ধীরে পরিমাণ কমান। বাজারের জুস, লাচ্ছি, শরবত এগুলো পরিহার করুন।
অনেকেই ইন্টারনেট বা বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া ডায়েট অনুসরণ করেন, যেমন নো কার্ব বা লো কার্ব ডায়েট, কিটো ডায়েট বা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। মনে রাখতে হবে, এসব ডায়েট সবার জন্য উপযুক্ত নয়, এবং কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া কোনো বিশেষ ডায়েট নয়। বরং প্রতিটি উপাদানই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়, তাই সুষম খাবার গ্রহণই সব থেকে ভালো।