ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের সেরা ধনীরা কেন এই সাত রঙের পোশাক এড়িয়ে চলেন

নিজস্ব প্রতিবেদন:

বিল গেটস বা মার্ক জাকারবার্গকে কি কখনো উজ্জ্বল লাল বা হলুদ রঙের পোশাক পরতে দেখেছেন? শীর্ষস্থানীয় ধনী ও তারকারা সাধারণত তাঁদের নিজস্ব ‘সিগনেচার স্টাইল’ বজায় রাখেন। যদি সিনেমার কোনো দৃশ্যের প্রয়োজন না হয়, তাঁরা সাধারণত হালকা ও নিরপেক্ষ রঙের সাদামাটা পোশাকই পরেন। এ ধরনের পোশাকেই তাঁদের আভিজাত্য প্রকাশ পায়। ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা স্বাভাবিকভাবেই আভিজাত্যের একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে বাস করেন। তাঁরা কোনো নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের লোগোকে তুলে ধরতে আগ্রহী নন, বরং নিজেরাই অভিজাত একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হন। চলুন দেখা যাক, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কোন সাতটি রঙের পোশাক পরা থেকে সাধারণত বিরত থাকেন।

প্যাস্টেল শেড

প্যাস্টেল শেডগুলো হালফ্যাশনে জনপ্রিয় হলেও কর্তব্যপরায়ণতা ও কর্তৃত্বের মতো গুণগুলোকে প্রকাশ করে না। তারুণ্য আর হালকা মেজাজের পরিচায়ক এসব রং কেবল অবসরযাপনের সময়ই পরেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। ধরুন, কেউ গাঢ় নীল, গাঢ় সবুজ কিংবা বারগান্ডি রঙের পোশাক পরলেন। এসব রঙে ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কিন্তু এসব রঙেরই প্যাস্টেল শেডগুলো আমুদে হিসেবে বিবেচনা হয় অভিজাত সমাজে।

বহু রঙের প্রিন্ট ও প্যাটার্ন

বিশ্বজুড়ে ঝাঁ–চকচকে অফিসগুলোয় একরঙা পোশাকের ব্যবহারই হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই ধারাই অনুসরণ করেন। পরিচ্ছন্ন লুক বজায় রাখেন তাঁরা। উজ্জ্বল ও বড়সড় প্রিন্ট অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তাতে নিজের আমিত্বকেই হারিয়ে ফেলার ঝুঁকি থাকে। অতি ধনী মানুষেরা তাই ধ্রুপদি ধারার পরিচ্ছন্ন শেডই বেছে নেন।

উজ্জ্বল হলুদ

উজ্জ্বল হলুদ প্রাণোচ্ছল রং। ইতিবাচকতা, প্রাণশক্তি, উষ্ণতা ও আনন্দ-ফুর্তির সঙ্গে এর গভীর সম্পর্ক। খানিকটা শিশুসুলভ প্রাণোচ্ছলতা প্রকাশিত হতে পারে এই রঙে। তাই অতি ধনীরা উজ্জ্বল হলুদ রং এড়িয়ে চলেন। পরিশীলতা আর গাম্ভীর্যের অভাবের কারণেই পেশাগত কাজের বেলায় এই রং গ্রহণযোগ্যতা পায় না; বরং গাঢ় রংগুলোয় গাম্ভীর্য আর আভিজাত্য প্রকাশ হয়।

উজ্জ্বল লাল

উজ্জ্বল লাল বেশ কর্তৃত্বপূর্ণ রং হলেও অতিরিক্ত মনোযোগ আকর্ষণ করে। উজ্জ্বল লালে খানিকটা আগ্রাসীভাবও ফুটে উঠতে পারে। ধনী ব্যক্তিরা বরং নিজের গুণ ও কাজের মাধ্যমেই নিজের প্রভাব বিস্তার করেন, পোশাকের রঙের মাধ্যমে নয়। কটকটে লাল পোশাক পরলে তাঁদের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।

নিয়ন শেড

উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রং হলেও নিয়ন শেডগুলো চোখের জন্য বেশ অস্বস্তিকরই বটে। এমন রঙের প্রভাবে কমে যেতে পারে আত্মবিশ্বাস। অতিরিক্ত ঝকমকে ও অপেশাদার দেখাতে পারে এমন রঙের পোশাকে। তাই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এ ধরনের রং এড়িয়েই চলেন। ঔজ্জ্বল্যের ফ্যাশনে আভিজাত্য প্রকাশের চেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ জীবনধারাই তাঁদের পছন্দ।

অতিরিক্ত সোনালি বা রুপালি ছোঁয়া

পোশাকে অতিরিক্ত সোনালি বা রুপালি রঙের ছোঁয়া থাকলে একটু বেশিই জাঁকজমকপূর্ণ দেখায়। এসব রঙের আধিক্য চোখেও লাগে। স্বাভাবিক লাবণ্য হারিয়ে যায় এমন রঙের আধিক্যে। একসঙ্গে এই দুয়ের আধিক্য থাকলে উদ্যমের নেতিবাচকতাও প্রকাশিত হতে পারে। নম্রতা আর মাধুর্যের স্বাভাবিক প্রকাশও হতে পারে ব্যাহত। তার চেয়ে হালকা রঙের পোশাকে নিজেকে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য রূপে প্রকাশ করা যায় বলেই অতি ধনীদের ওয়ার্ডরোবে এমন উজ্জ্বল রঙের আতিশয্যময় পোশাক থাকে না।

 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

বিশ্বের সেরা ধনীরা কেন এই সাত রঙের পোশাক এড়িয়ে চলেন

আপডেট সময় ০৪:৫৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিল গেটস বা মার্ক জাকারবার্গকে কি কখনো উজ্জ্বল লাল বা হলুদ রঙের পোশাক পরতে দেখেছেন? শীর্ষস্থানীয় ধনী ও তারকারা সাধারণত তাঁদের নিজস্ব ‘সিগনেচার স্টাইল’ বজায় রাখেন। যদি সিনেমার কোনো দৃশ্যের প্রয়োজন না হয়, তাঁরা সাধারণত হালকা ও নিরপেক্ষ রঙের সাদামাটা পোশাকই পরেন। এ ধরনের পোশাকেই তাঁদের আভিজাত্য প্রকাশ পায়। ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা স্বাভাবিকভাবেই আভিজাত্যের একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে বাস করেন। তাঁরা কোনো নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের লোগোকে তুলে ধরতে আগ্রহী নন, বরং নিজেরাই অভিজাত একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হন। চলুন দেখা যাক, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কোন সাতটি রঙের পোশাক পরা থেকে সাধারণত বিরত থাকেন।

প্যাস্টেল শেড

প্যাস্টেল শেডগুলো হালফ্যাশনে জনপ্রিয় হলেও কর্তব্যপরায়ণতা ও কর্তৃত্বের মতো গুণগুলোকে প্রকাশ করে না। তারুণ্য আর হালকা মেজাজের পরিচায়ক এসব রং কেবল অবসরযাপনের সময়ই পরেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। ধরুন, কেউ গাঢ় নীল, গাঢ় সবুজ কিংবা বারগান্ডি রঙের পোশাক পরলেন। এসব রঙে ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কিন্তু এসব রঙেরই প্যাস্টেল শেডগুলো আমুদে হিসেবে বিবেচনা হয় অভিজাত সমাজে।

বহু রঙের প্রিন্ট ও প্যাটার্ন

বিশ্বজুড়ে ঝাঁ–চকচকে অফিসগুলোয় একরঙা পোশাকের ব্যবহারই হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই ধারাই অনুসরণ করেন। পরিচ্ছন্ন লুক বজায় রাখেন তাঁরা। উজ্জ্বল ও বড়সড় প্রিন্ট অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তাতে নিজের আমিত্বকেই হারিয়ে ফেলার ঝুঁকি থাকে। অতি ধনী মানুষেরা তাই ধ্রুপদি ধারার পরিচ্ছন্ন শেডই বেছে নেন।

উজ্জ্বল হলুদ

উজ্জ্বল হলুদ প্রাণোচ্ছল রং। ইতিবাচকতা, প্রাণশক্তি, উষ্ণতা ও আনন্দ-ফুর্তির সঙ্গে এর গভীর সম্পর্ক। খানিকটা শিশুসুলভ প্রাণোচ্ছলতা প্রকাশিত হতে পারে এই রঙে। তাই অতি ধনীরা উজ্জ্বল হলুদ রং এড়িয়ে চলেন। পরিশীলতা আর গাম্ভীর্যের অভাবের কারণেই পেশাগত কাজের বেলায় এই রং গ্রহণযোগ্যতা পায় না; বরং গাঢ় রংগুলোয় গাম্ভীর্য আর আভিজাত্য প্রকাশ হয়।

উজ্জ্বল লাল

উজ্জ্বল লাল বেশ কর্তৃত্বপূর্ণ রং হলেও অতিরিক্ত মনোযোগ আকর্ষণ করে। উজ্জ্বল লালে খানিকটা আগ্রাসীভাবও ফুটে উঠতে পারে। ধনী ব্যক্তিরা বরং নিজের গুণ ও কাজের মাধ্যমেই নিজের প্রভাব বিস্তার করেন, পোশাকের রঙের মাধ্যমে নয়। কটকটে লাল পোশাক পরলে তাঁদের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।

নিয়ন শেড

উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রং হলেও নিয়ন শেডগুলো চোখের জন্য বেশ অস্বস্তিকরই বটে। এমন রঙের প্রভাবে কমে যেতে পারে আত্মবিশ্বাস। অতিরিক্ত ঝকমকে ও অপেশাদার দেখাতে পারে এমন রঙের পোশাকে। তাই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এ ধরনের রং এড়িয়েই চলেন। ঔজ্জ্বল্যের ফ্যাশনে আভিজাত্য প্রকাশের চেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ জীবনধারাই তাঁদের পছন্দ।

অতিরিক্ত সোনালি বা রুপালি ছোঁয়া

পোশাকে অতিরিক্ত সোনালি বা রুপালি রঙের ছোঁয়া থাকলে একটু বেশিই জাঁকজমকপূর্ণ দেখায়। এসব রঙের আধিক্য চোখেও লাগে। স্বাভাবিক লাবণ্য হারিয়ে যায় এমন রঙের আধিক্যে। একসঙ্গে এই দুয়ের আধিক্য থাকলে উদ্যমের নেতিবাচকতাও প্রকাশিত হতে পারে। নম্রতা আর মাধুর্যের স্বাভাবিক প্রকাশও হতে পারে ব্যাহত। তার চেয়ে হালকা রঙের পোশাকে নিজেকে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য রূপে প্রকাশ করা যায় বলেই অতি ধনীদের ওয়ার্ডরোবে এমন উজ্জ্বল রঙের আতিশয্যময় পোশাক থাকে না।