বন্ধ নেই ইলিশ নিধন অভিযান সত্ত্বেও
প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা চলছেই। মৎস্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অভিযান সত্ত্বেও থামানো যাচ্ছে না মা ইলিশ নিধন। বিস্তারিত প্রতিবেদকদের পাঠানো প্রতিবেদনে।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে মা ইলিশ শিকার বন্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিমা বিনতে আখতার উপজেলার কুঠিবয়ড়া এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অফিসার সুদীপ ভট্টাচার্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিমা বিনতে আখতার বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যমুনা নদীতে মা ইলিশ শিকার বন্ধে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শিবচর (মাদারীপুর):
মাদারীপুর জেলার শিবচরের পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে ১৫ জেলেকে আটক করেছে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাঁচজনকে পাঁচ হাজার করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ১০ জনকে আট দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা মৎস্য অফিস। এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পাঁচ জেলেকে আটকসহ ৪০ হাজার মিটার জাল জব্দ করে তারা।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ রক্ষায় রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পদ্মা নদীতে অভিযান চালায় মৎস্য অফিস ও উপজেলা প্রশাসন ও নৌপুলিশ। দুপুর পর্যন্ত অভিযানে পাঁচ জেলেকে আটক করা হয়। এসময় ৩০ কেজি ইলিশ ও ৪০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়।
এরপর দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অভিযানে ১৫ জন জেলেকে আটক এবং ১ লাখ ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৩০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
পরে উদ্ধারকৃত ইলিশ স্থানীয় ২টি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫ জেলের ১০ জনকে ৮ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং পাঁচজনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পৃথকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল মালেক আটক জেলেদের এ সাজা দেন। শিবচর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম বলেন, ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। নদীতে অভিযানের পাশাপাশি পদ্মার পাড়ে গড়ে ওঠা অস্থায়ী ইলিশের হাটেও অভিযান চালানো হয়েছে।