ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মসজিদের মাইকে বেজে উঠলো আজান

নিজস্ব সংবাদ :

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মসজিদে রবিবার (৩ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো মাইক ব্যবহার করে আজান দেওয়া হয়েছে। এতে আনন্দ প্রকাশ করেছেন হলের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১৬ বছর পর এটি একটি নতুন উদ্যোগ। বঙ্গবন্ধু হলের মসজিদে মাইক লাগানোর পর এশার আজান প্রথমবারের মতো মাইকের মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

এর আগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে মাইকে আজান দেওয়ার সুযোগ ছিল না বলে হল সূত্রে জানা যায়। বিগত ১৬ বছরে ছাত্রলীগের আধিপত্য চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে।

আবাসিক হলের শিক্ষার্থী মেহেদী জানান, হলে বা কেন্দ্রীয় মসজিদে কেউ নামাজ আদায় করলে তাকে শিবির ট্যাগ দিয়ে নানা রকম হুমকি, নির্যাতন করা হতো। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পেতো না কেউ।

শাওন নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, নামাজ পড়াটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল, বিশেষ করে স্বৈরাচারী সরকারের সময়। সেই সময় নামাজ আদায় করলে শিক্ষার্থীদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। এখন হলের এই পরিবর্তনে আলহামদুলিল্লাহ, আমরা অনেক খুশি।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট আমির শরীফ বলেন, এটি খুব প্রয়োজন ছিল এবং আমরা সবসময় ইতিবাচক কাজ করার চেষ্টা করবো। হলের পরিবেশ সুন্দর ও সাজানো গোছানো করার লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মসজিদের মাইকে বেজে উঠলো আজান

আপডেট সময় ০৬:৩৮:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মসজিদে রবিবার (৩ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো মাইক ব্যবহার করে আজান দেওয়া হয়েছে। এতে আনন্দ প্রকাশ করেছেন হলের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১৬ বছর পর এটি একটি নতুন উদ্যোগ। বঙ্গবন্ধু হলের মসজিদে মাইক লাগানোর পর এশার আজান প্রথমবারের মতো মাইকের মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

এর আগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে মাইকে আজান দেওয়ার সুযোগ ছিল না বলে হল সূত্রে জানা যায়। বিগত ১৬ বছরে ছাত্রলীগের আধিপত্য চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে।

আবাসিক হলের শিক্ষার্থী মেহেদী জানান, হলে বা কেন্দ্রীয় মসজিদে কেউ নামাজ আদায় করলে তাকে শিবির ট্যাগ দিয়ে নানা রকম হুমকি, নির্যাতন করা হতো। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পেতো না কেউ।

শাওন নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, নামাজ পড়াটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল, বিশেষ করে স্বৈরাচারী সরকারের সময়। সেই সময় নামাজ আদায় করলে শিক্ষার্থীদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। এখন হলের এই পরিবর্তনে আলহামদুলিল্লাহ, আমরা অনেক খুশি।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট আমির শরীফ বলেন, এটি খুব প্রয়োজন ছিল এবং আমরা সবসময় ইতিবাচক কাজ করার চেষ্টা করবো। হলের পরিবেশ সুন্দর ও সাজানো গোছানো করার লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।